nail-care-tips-05

হাত ও পায়ের পাতা হোক মসৃণ

আসছে শীত। হাত ও পায়ের পাতায় লেগেছে টান। হচ্ছে খসখসে। অনেকের আছে হাত ও পায়ের পাতা ফাটার সমস্যা।

শীতকালে হাত ও পায়ের পাতা মসৃণ রাখতে ঋতু উপযোগী ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। অন্য সময় মাসে একবার পেডিকিউর-ম্যানিকিউর করালেও এ সময়ে মাসে দুইবার, অর্থাৎ প্রতি ১৫ দিনে একবার করলে ভালো। পার্লারে শীতের জন্য বিশেষ পেডিকিউর-ম্যানিকিউর করানো হয়। পাশাপাশি প্রতিদিন হাত ও পায়ের পাতায় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। দিনে দুইবার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে—গোসলের পর ও রাতে ঘুমানোর আগে। গোসলের ঠিক পরপর শরীর ভেজা ভেজা থাকতেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা ভালো। এ ছাড়া বাজারে হাত-পায়ের পাতা ফাটা রোধের জন্য বিশেষ ক্র্যাক রিমুভিং ক্রিম পাওয়া যায়। যাঁদের সমস্যা বেশি, তাঁরা ময়েশ্চারাইজারের পাশাপাশি এই ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহারের পর পরতে পারেন মোজা। মোজা সারা রাত পায়ে ময়েশ্চারাইজ আটকে রাখবে। ফলে উপকার পাওয়া যাবে বেশি।

হাতে ব্যবহারের জন্য প্যাক

হাতে ব্যবহারের জন্য প্যাক বানাতে পারেন টক দই দিয়ে। যাঁদের ত্বক মোটা, তারা টক দইয়ের সঙ্গে আইসিং সুগার মিশিয়ে প্যাক বানাতে পারেন। আর পাতলা ত্বকের জন্য টক দইয়ের সঙ্গে ওটস মিশিয়ে প্যাক বানাতে হবে। এই প্যাক গোসলের পর ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারের পর হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। দিনের বেলা ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সান প্রটেক্ট করে এমন ময়েশ্চারাইজার বেছে নিতে হবে। হাতের জন্য বানানো হলেও এই প্যাক ব্যবহার করা যাবে পায়ের পাতায়ও।

পায়ে ব্যবহারের প্যাক

একটা বোলের মধ্যে গরম পানি নিয়ে তার সঙ্গে গ্লিসারিন ও শ্যাম্পু মিশিয়ে নিতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে এটি বানিয়ে কিছুক্ষণের জন্য তাতে দুই পায়ের পাতা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ক্রিম ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এতে বেশ উপকার পাওয়া যাবে। শীতকালে হাত ও পায়ের পাতা মসৃণ রাখতে এই প্যাকগুলো বেশ উপকারে আসবে।

তবে যাঁরা পার্লারে গিয়ে পেডিকিউর-ম্যানিকিউর করেন, তাঁদের আর বাসায় বিশেষ কিছু করার দরকার নেই। কারণ শীতের জন্য বিশেষ পেডিকিউর-ম্যানিকিউর এমনিতেই হাত ও পায়ের পাতা মসৃণ রাখার জন্য যথেষ্ট সহায়ক হয়।

সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন
ভ্যালেন্টিনার সাথেই থাকুন

হাত ও পায়ের পাতা হোক মসৃণ

আসছে শীত। হাত ও পায়ের পাতায় লেগেছে টান। হচ্ছে খসখসে। অনেকের আছে হাত ও পায়ের পাতা ফাটার সমস্যা।

শীতকালে হাত ও পায়ের পাতা মসৃণ রাখতে ঋতু উপযোগী ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। অন্য সময় মাসে একবার পেডিকিউর-ম্যানিকিউর করালেও এ সময়ে মাসে দুইবার, অর্থাৎ প্রতি ১৫ দিনে একবার করলে ভালো। পার্লারে শীতের জন্য বিশেষ পেডিকিউর-ম্যানিকিউর করানো হয়। পাশাপাশি প্রতিদিন হাত ও পায়ের পাতায় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। দিনে দুইবার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে—গোসলের পর ও রাতে ঘুমানোর আগে। গোসলের ঠিক পরপর শরীর ভেজা ভেজা থাকতেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা ভালো। এ ছাড়া বাজারে হাত-পায়ের পাতা ফাটা রোধের জন্য বিশেষ ক্র্যাক রিমুভিং ক্রিম পাওয়া যায়। যাঁদের সমস্যা বেশি, তাঁরা ময়েশ্চারাইজারের পাশাপাশি এই ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহারের পর পরতে পারেন মোজা। মোজা সারা রাত পায়ে ময়েশ্চারাইজ আটকে রাখবে। ফলে উপকার পাওয়া যাবে বেশি।

হাতে ব্যবহারের জন্য প্যাক

হাতে ব্যবহারের জন্য প্যাক বানাতে পারেন টক দই দিয়ে। যাঁদের ত্বক মোটা, তারা টক দইয়ের সঙ্গে আইসিং সুগার মিশিয়ে প্যাক বানাতে পারেন। আর পাতলা ত্বকের জন্য টক দইয়ের সঙ্গে ওটস মিশিয়ে প্যাক বানাতে হবে। এই প্যাক গোসলের পর ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারের পর হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। দিনের বেলা ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সান প্রটেক্ট করে এমন ময়েশ্চারাইজার বেছে নিতে হবে। হাতের জন্য বানানো হলেও এই প্যাক ব্যবহার করা যাবে পায়ের পাতায়ও।

পায়ে ব্যবহারের প্যাক

একটা বোলের মধ্যে গরম পানি নিয়ে তার সঙ্গে গ্লিসারিন ও শ্যাম্পু মিশিয়ে নিতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে এটি বানিয়ে কিছুক্ষণের জন্য তাতে দুই পায়ের পাতা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ক্রিম ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এতে বেশ উপকার পাওয়া যাবে। শীতকালে হাত ও পায়ের পাতা মসৃণ রাখতে এই প্যাকগুলো বেশ উপকারে আসবে।

তবে যাঁরা পার্লারে গিয়ে পেডিকিউর-ম্যানিকিউর করেন, তাঁদের আর বাসায় বিশেষ কিছু করার দরকার নেই। কারণ শীতের জন্য বিশেষ পেডিকিউর-ম্যানিকিউর এমনিতেই হাত ও পায়ের পাতা মসৃণ রাখার জন্য যথেষ্ট সহায়ক হয়।

সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন
ভ্যালেন্টিনার সাথেই থাকুন

শ্যাম্পু ব্যবহারের আগে-পরে

চুল নির্জীব হলে শ্যাম্পু ব্যবহারে ফেরে চুলের প্রাণ। তবে জানেন কি নিয়ম না মেনে শ্যাম্পু না করলে এবং ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু বেছে না নিলে উল্টো চুল হয়ে পড়তে পারে ফ্যাকাসে? জেনে নিন প্রয়োজনীয় টিপস।

  • তৈলাক্ত চুলে স্বচ্ছ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। শ্যাম্পুর সঙ্গে সামান্য বেকিং পাউডার মিশিয়ে নিতে পারেন। চুলের গোড়ার অতিরিক্ত তেল শুষে নেবে এটি।
  • ওমেগা-থ্রি রয়েছে এমন ময়েশ্চার সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন শুষ্ক চুলে।
  • স্বাভাবিক চুলে মাইল্ড শ্যাম্পু দিন। রঙিন চুলেও তাই।
  • কোঁকড়া চুল হলে ময়েশ্চারাইজিং শ্যাম্পু বেছে নিন।
  • শ্যাম্পু করার আগে চুল সামনে থেকে পিছনে ভালো করে আঁচড়ে নেবেন। মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালন ভালো হবে।
  • প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। এমনকি তৈলাক্ত চুল হলেও। এতে চুলের গোড়া থেকে আরও বেশি তেল বের হয়।
  • দুই থেকে তিন দিন পর পর শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। শ্যাম্পুর সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে তারপর ব্যবহার করতে পারেন।
  • চুলে আঘাত করে মুছবেন না। তোয়ালে দিয়ে জড়িয়ে রাখুন পানি না ঝরা পর্যন্ত। এরপর প্রাকৃতিক বাতাসে শুকিয়ে নিন।

সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন
ভ্যালেন্টিনার সাথেই থাকুন

ভ্রু সুবিন্যস্ত রাখবেন যেভাবে

  • ভ্রু তোলার আগে পাউডার লাগিয়ে নিন।
  • প্লাক শুরু হবে নীচ থেকে। উপরে উঠে শেষ হবে দুই ভ্রুর মাঝে।
  • ভ্রু আঁচড়ানোর সরু দাঁতের ব্রাশ দিয়ে নীচ থেকে উপরের দিকে আঁচড়ান। এই ব্রাশ না থাকলে পুরনো মাসকারা ব্রাশ ধুয়ে ব্যবহার করুন।
  • এক দিকের ভ্রুর নীচে টানটান করে ধরে, টুইজার দিয়ে অতিরিক্ত ভ্রু তুলুন। হেয়ার গ্রোথের দিকে টেনে রোম তুলবেন, উল্টো দিকে টানবেন না।
  • কয়েকটি তোলার পর ব্রাশ করবেন, শেপ ঠিক আছে কি না বুঝতে সুবিধা হবে।
  • ভ্রুর আসল শেপের বাইরে অতিরিক্ত ভ্রু তুলতে যাবেন না। টুইজার দিয়ে শেপ পাল্টানোর চেষ্টা করবেন না। এটি দিয়ে শুধু অতিরিক্ত ভ্রু তোলার কাজটুকু করুন।
  • প্লাক করা হয়ে গেলে ছোট কাঁচি দিয়ে তা ট্রিম করে নিন।
  • যত ত্বক টানটান করে ধরবেন, ব্যথা তত কম লাগবে।
  • আই ব্রো রেজারের সরু মুখ দিয়ে ভ্রু প্লাক করতে পারেন।
  • ভুরু তোলার পর ত্বক লালচে হলে বা জ্বালা করলে বরফ ঘষে নিন। তার পর ময়শ্চারাইজার বা অ্যালোভেরা জেল দিয়ে মিনিট দশেক ম্যাসাজ করুন।
  • রাতে ঘুমানোর আগে ক্যাস্টর অয়েল ম্যাসাজ করতে পারেন ভ্রুতে। ভ্রু হবে কালো।

সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন
ভ্যালেন্টিনার সাথেই থাকুন

গাজরের প্যাকে উজ্জ্বল ও টানটান ত্বক

গাজর খেলে যেমন ত্বক উজ্জ্বল হয়, তেমনি গাজরের প্যাক ত্বকে নিয়মিত ব্যবহার করলেও মেলে সুফল। বলিরেখাহীন উজ্জ্বল ও সুন্দর ত্বকের জন্য কীভাবে ত্বকে গাজরের প্যাক ব্যবহার করবেন জেনে নিন।

  • দুটি গাজর কুচি করে ১ চা চামচ করে দুধ, অলিভ অয়েল ও মধু মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ত্বক হবে উজ্জ্বল ও সুন্দর।
  • আধা গ্লাস গাজরের রসের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মধু, একটি ডিমের কুসুম ও প্রয়োজন মতো ময়দা মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ২০ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। গরম তোয়ালে দিয়ে মুছে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। ত্বক হবে নরম ও মসৃণ।
  • ত্বকের রোদে পোড়া দাগ দূর করতে ১ ভাগ গাজরের রস ও ২ ভাগ গোলাপজল মিশিয়ে নিন একসঙ্গে। দ্রবণটি স্প্রে বোতলে নিয়ে প্রতিদিন স্প্রে করুন ত্বকে।
  • ব্রণ দূর করতে একটি গাজর সেদ্ধ করে চটকে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। শুকিয়ে গেলে দুধ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন
ভ্যালেন্টিনার সাথেই থাকুন

ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করবেন যেভাবে

প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে দূর করতে পারেন ব্রণ। এগুলো ব্রণের দাগও মিলিয়ে দেয় ধীরে ধীরে।

  • নিম পাতার গুঁড়া গোলাপজলের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
  • সামান্য পানির সঙ্গে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে তুলা ভিজিয়ে ত্বকে লাগান। কিছুক্ষণ পর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।
  • অ্যালোভেরার পাতা থেকে জেল সংগ্রহ করে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • নিম পাতা বেটে ব্রণ আক্রান্ত ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে।
  • ব্যবহৃত গ্রিন টি ব্যাগ ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে নিন। ঠাণ্ডা টি ব্যাগ ত্বকে চেপে চেপে লাগান।
  • ধনিয়া পাতার রসের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।

 

সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন
ভ্যালেন্টিনার সাথেই থাকুন